
নিখুঁত ভ্রু মেকআপের রহস্য শুধুমাত্র ভালো মানের প্রসাধনী নয় এর সঙ্গে দরকার উপযুক্ত রঙের পরিকল্পনা যা আপনার গায়ের রঙ ও ত্বকের ধরণের সঙ্গে মেলে। কীকরে আপনার গায়ের রঙের শেড চিনবেন ও তার জন্য সঠিক ভ্রু পণ্য বেছে নেবেন? আপনার স্কিনের আন্ডারটোন কী ওয়ার্ম বা কুল বা দুটোই মিশে রয়েছে অর্থাৎ নিউট্রাল? চলুন দেখে নেওয়া যাক!
স্কিনের আন্ডার টোন জানা কেন প্রয়োজন?
আপনি কী কখনো এমন একটি ব্রো পোমেড কিনে দেখেছেন যে সেটা জারেই ঠিক লাগছে কিন্তু জিনিসটি অদ্ভুত এক কমলা রঙের যা একদমই আপনার ত্বকে মানাবে না? এটা হওয়ার কারণ হয়ত জিনিসটি আপনার স্কিনের আন্ডারটোনের সঙ্গে মিলছে না। হয়ত আপনার স্কিন কুল-টোন এর আর প্রসাধনী টি ওয়ার্ম-টোন এর জন্য, সেই জন্যই হয়ত মেকআপ ঠিক মত মিশে যাচ্ছে না।
আপনার ত্বক কেমন তা জানলে নিজেকে সুন্দর করতে আপনি এর জন্য পরিপূরক রঙগুলি খুঁজে নিতে পারবেন। এটা শুধুমাত্র মেকআপেই নয়, আপনার জামাকাপড় বেছে নেওয়া বা পুরো ব্যক্তিত্বকে আকর্ষণীয় করে তুলতে কাজে লাগবে। প্রসাধনীগুলিকে সঠিকভাবে বাছতে হলে আপনার স্কিনের আন্ডারটোন জানা খুব জরুরী। কী ভাবে স্কিনের আন্ডারটোন জানবেন আর কী করে মেকআপ দিয়ে তাকে আরও চমকপ্রদ করে তুলবেন? আপনার স্কিনের আন্ডারটোন কী?
স্কিন টোনের বিভিন্ন ধরণ বনাম ভ্রু মেকআপ
আপনার মেকআপ যাতে স্বাভাবিক দেখায় ও ভ্রু প্রসাধনীর শেডগুলি যাতে ভালোভাবে মিলে যায়, এর জন্য আপনার গায়ের রঙের সঙ্গে মানানসই জিনিস বেছে নিতে হবে। তিন রকম আন্ডারটোন রয়েছেঃ ওয়ার্ম, কুল এবং নিউট্রাল, যাকে অনেক সময় মিক্সড বা মিশ্রিতও বলা হয়। কী ভাবে ওয়ার্ম ও কুল আন্ডারটোন চিনতে পারবেন? এটা একটু সমস্যাজনক এবং আপনার ত্বকে ওয়ার্ম না কুল কোন আন্ডারটোনটির প্রাধান্য বেশি তা পরিষ্কার নয়। সৌভাগ্যবশত বেশ কিছু উপায় আছে যা থেকে আন্ডারটোনের বিষয়টি ভালো করে বোঝা যায়!
১। ওয়ার্ম না কুল আন্ডারটোনঃ সোনা না রূপা?
আপনার স্কিনের আন্ডারটোন বোঝার সবচেয়ে সহজ উপায় হল দেখে নিন ওয়ার্ম বা কুল টোনে আপনার ত্বক কিভাবে সাড়া দেয়। সোনা বা রূপোর গয়না পরে তুলনা করে দেখে নেওয়া যে ত্বকে তা কেমন লাগছে – স্কিনের আন্ডারটোন চেনার খুব ভালো উপায়। মনে রাখবেন এই সময় কিন্তু আপনি মেকআপ করবেন না। প্রাকৃতিক, উজ্জ্বল আলোয় যেমন জানলার পাশে দাঁড়িয়ে এই পরীক্ষা করলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়। আমরা আপনাকে বলব তুলনা করার জন্য কিছু ছবি তুলতে। খুব ভালো করে আপনার ত্বকের রঙ ও চোখের রঙ দেখুন – এগুলো কী রূপোর (কুল) না সোনার (ওয়ার্ম) গয়না কিসের সঙ্গে বেশি মিল হচ্ছে? কোন রঙের সঙ্গে আপনাকে বেশি ভাল লাগছে? যদি দেখেন রূপো পরে আপনার খুঁতগুলো আরো বেশি চোখে পড়ছে – ত্বককে নির্জীব লাগছে, আইব্যাগ আরও বেশি চোখে পড়ছে – তাহলে কুল টোন আপনার জন্য নয়।
২। ওয়ার্ম না কুল আন্ডারটোনঃ স্কিন টোন বিশ্লেষণ
আপনার ত্বককে খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার স্কিনের আন্ডারটোন কী – ওয়ার্ম না কুল। কুল টোনের গায়ের রঙ পোর্সিলেনের মত, এতে গোলাপী, লাল বা বেগুনি রঙ এর আভা আছে। আর ওয়ার্ম রঙ এর ক্ষেত্রে সোনালী, হলুদ বা পিচের মত শেডের কথা ভাবুন। ত্বকে যদি কমলা রঙের আভা থাকে তবে তা ওয়ার্ম টোন এর আর যদি নীলাভ হয় তবে তা কুল টোন।
৩। ওয়ার্ম না কুল আন্ডারটোনঃ আপনার শিরাগুলি কোন রঙের
এগুলো কী সবুজ না নীল? যদি আপনার ত্বকে সবুজ শিরা দেখা যায় তবে আপনার ত্বক ওয়ার্ম। যদি হাতের কবজিতে নীল শিরা দেখা যায় তবে আপনার স্কিন আন্ডারটোন কুল। খুব জরুরী যে জানলার পাশে দাঁড়িয়েই এটা লক্ষ্য করতে হবে। যদি দেখেন দুটো রঙ-ই আছে বা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না তবে আপনার স্কিন আন্ডারটোন হয়ত নিউট্রাল।
৪। স্কিন আন্ডারটোন টেস্ট বনাম মেকআপ
স্কিন টোন চেনার আর একটা ভাল উপায় হচ্ছে দু’রকম ভাবে মেকআপ করে তুলনা করে দেখা। একদিকের গালে একটি ওয়ার্ম টোনের (পিচ, কোরাল, অরেঞ্জ) ব্লাশ লাগান এবং অপর গালে একটি কুল-টোনের পিঙ্ক। এবার দিনের উজ্জ্বল আলোয় জানালার পাশে বসুন এবং ভাল করে লক্ষ্য করুন কোন শেডটা আপনার ত্বকের সঙ্গে ভালভাবে মিশে যাচ্ছে আর আপনাকে আরও সুন্দর লাগছে, আরও উজ্জ্বল এবং আরও স্বাভাবিক আর আকর্ষণীয় লাগছে। অবশ্যই, যদি আপনি দেখেন যে ওয়ার্ম-টোন ব্লাশে আপনাকে বেশি সুন্দর লাগছে তাহলে আপনি ওয়ার্ম এবং যদি একটি কুল-টোনের পিঙ্ক আপনার সৌন্দর্য্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে, তাহলে আপনি কুল।
এরকমই একটা পরীক্ষা লিপস্টিক দিয়ে করা যায়ঃ ফুশিয়া, হালকা মুক্তোর মত গোলাপী বা লাল যাতে নীলের আভা বেশি আছে এরকম লিপস্টিক বেছে নিন। চুল বেঁধে নিন, ছবি তুলুন এবার মুছে ফেলে লাগান পিচ, ওয়ার্ম ন্যুড বা ব্রাউন লিপস্টিক। একই আলোর সামনে দাঁড়িয়ে ঠিক এরকমই ছবি তুলুন এবং দুটো ছবির মধ্যে তুলনা করুন।
৫। কোন একজন বিখ্যাত মানুষের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করুন
বিখ্যাত মানুষের দেখে উৎসাহিত হয়ে থাকেন! তাদের জামাকাপড় এবং মেকআপ লুক প্রায়শই ম্যাগাজিনের মেকআপ আর্টিস্টদের দিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়। এরকম একজন সিনেমা স্টার বা গায়িকা যার গায়ের রঙ প্রায় আপনার মত খুঁজে বের করুন এবং পড়ে দেখুন প্রোফেশনালরা তাদের সম্পর্কে কী বলে। আপনি যার কথা ভাবছেন তার কী ওয়ার্ম বা কুল রঙ এর স্কিন টোন নিয়ে কথা বলা হচ্ছে? যেমন সোফি মারসোকে বলা হয় ওয়ার্ম টোন অটাম, লেটিশা ক্যাস্টা হল ওয়ার্ম স্প্রিং, ক্লেমেন্স পোয়েজি হল কুল সামার এবং অর্ড্রে টাওটু হল কুল টোন উইন্টার।
বিভিন্ন গায়ের রঙঃ ঋতুগত স্কিন টোন
যেহেতু আমরা আগেই অটাম ও স্প্রিং স্কিন টাইপ নিয়ে বলেছি, এখন এটি বিশদে বলা যাক। ঋতুগত ত্বকের ধরনগুলিও আপনার ত্বকের 'তাপমাত্রা' নির্ধারণ করতে সাহায্য করে এবং সবচেয়ে সাধারণ শ্রেণিবিন্যাস হল চারটি ঋতুর রঙ বিশ্লেষণ। ওপরে উল্লিখিত ত্বকের ধরনগুলির মধ্যে মৌলিক বিভাজনটি এইরকম:
-
স্প্রিং – হালকা, ওয়ার্ম
-
সামার – হালকা, কুল
-
অটাম – গাঢ়, ওয়ার্ম
-
উইন্টার – গাঢ়, কুল
মনে রাখবেন!
ঋতুগত ত্বকের ধরণের বিভাজন সুবিধাজনক কিন্তু এটি সরলীকৃত ধারণা। এর অনেক সাবটাইপ বা উপপ্রকার রয়েছে যা ১২ টি রঙের বিভিন্ন টোনের মধ্যে পড়ে। এছাড়াও এমন মানুষ আছেন যারা মিশ্রিত বা নিউট্রাল বিভাগে পড়েন, তাদের ওয়ার্ম এবং কুল দুধরণের স্কিন টোনই মানায়। এতেই বোঝা যায় আমরা একে অপরের থেকে কতটা আলাদাঃ ত্বক,চুল ভ্রুর রঙ প্রত্যেকের নিজস্ব ব্যাপার – তাই সৌন্দর্য্যের ধরণ খুঁজে নেওয়া যথেষ্ট জটিল এবং একে একটি নিয়মে বেঁধে ফেলা সমস্যাজনক। বৈচিত্র্য সবসময়ই সুন্দর।
কুল টোনের ত্বক
- সামার – ফর্সা, দুধের মত রঙ সঙ্গে গোলাপী ও বেজের আভা। স্বচ্ছ নীল, সবুজ, হ্যাজেল বা হালকা বাদামী চোখ। চুলঃ হালহা ব্লন্ড, ধুসরের মত, প্লাটিন বা রূপালী সাদা বা হালকা বাদামী। এই ত্বক খুব সহজেই ট্যান হয়ে যায় ও কিছুদিন বাদে গাঢ় রঙের শেড চলে আসে।
- উইন্টার – ত্বক আর চুলে খুব বেশি রকম বৈসাদৃশ্য, একে কখনও কখনও বলা হয় ‘স্নো হোয়াইট‘ এর মত। হালকা, অলিভ আন্ডারটোনের খুব ফর্সা রঙ। নীল, মাঝারী বাদামী বা কালো-বাদামী চোখ। খুব তাড়াতাড়ি ট্যান হয়ে যায়।
ওয়ার্ম টোনের ত্বক
- স্প্রিং – ওয়ার্ম টোনের ত্বক, প্রায়শই ফ্রেকলস বা মেচেতা দেখা যায়। নীল, সবুজ বা হালকা বাদামী চোখ। হালকা ব্লন্ড বা স্ট্রবেরি ব্লন্ড চুল যাতে ক্যারামেল বা লালের আন্ডারটোন আছে। এই ত্বক খুব সহজেই ট্যান হয়ে যায় এবং লাল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- অটাম – হালকা ওয়ার্ম গায়ের ত্বক যাতে পিচ ও সোনালী আভা আছে। লাল অথবা অবার্ন বা পিঙ্গল রঙের চুলে গাঢ় লাল বা সোনালী আন্ডারটোন রয়েছে। ট্যান হয় না, মেচেতা হতে পারে।
মজার বিষয়!
আপনার স্কিন টোন কিন্তু জীবনভর পরিবর্তন হতে পারে! আপনি ট্যান করছেন বা আপনার চুলের রঙ বদলে ফেলছেন তার ওপর নির্ভর করে আপনার ত্বকের ধরণ কিন্তু অল্প ওয়ার্ম বা কুল হতে পারে। এটা বোঝা যায় সামারের পর যখন আপনি কোন লিপস্টিকের নতুন শেড লাগান এবং হঠাৎ করেই আরো ভালো দেখতে লাগে।
আপনার ভ্রু মেকআপের পণ্যের সঠিক রঙ বেছে নেবেন কীভাবে?
অন্যান্য রঙিন পণ্যের মতো, ভ্রু মেকআপ পণ্যগুলির একটি নির্দিষ্ট কালার টেম্পারেচার বা রঙের তাপমাত্রা থাকে তাই ভ্রু পোমেড, পেন্সিল বা পাউডারের সঠিক শেড বেছে নিতে গেলে, আপনাকে এর টোনগুলি দেখে নিতে হবে এবং তারপরে আপনার চুল, ভ্রু এবং গায়ের রঙের সাথে এর মিল করে নিতে হবে। এটি আপনার ভ্রু বা চুলের রঙের কাছাকাছি হবে কিন্তু একদম এক নয়। যদি আপনার চুলে বেশ কয়েকটি শেড থাকে তাহলে কোনটি আপনার মুখের কাছাকাছি মিলছে তা দেখে নিন। ব্রো পোমেড বেছে নেওয়ার সময় আপনার ভ্রুর রঙের থেকে এক শেড হালকা রঙ বাছুন।
মেকআপে, মনে করা হয় যে কুল বা নিউট্রাল টোন প্রাধান্য পায় যদি না আপনার আন্ডারটোনগুলি ওয়ার্মের কাছাকাছি না থাকে এবং আপনার চুল অবার্ন, চেস্টনাট বা জ্বলন্ত লাল হয়। মনে রাখবেন মেকআপের সময় স্বাভাবিক দেখতে লাগাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ – অতিরঞ্জিত ভ্রু এবং খুব গাঢ় শেডগুলি অদ্ভুত দেখায় এবং এতে আপনাকে বয়স্ক দেখায় এবং আপনার মুখের বৈশিষ্ট্যগুলি আরও তীক্ষ্ণ করে তোলে।
একটি পরামর্শ!
-
আপনাকে যদি অটাম/উইন্টার শেডে দেখতে ভালো লাগে, তাহলে একটু গাঢ় রঙের পণ্য বেছে নিন।
-
যদি সুক্ষ্ম রঙ আপনাকে মানায়, তাহলে হালকা শেড বেছে নিন।
আপনার ভ্রু যে রকম ও এর ঘনত্ব যাই হোক না কেন ব্রো পোমেড একটি চমৎকার পণ্য। এর ঘনত্ব স্টাইলের সাহায্যে আপনাকে ভ্রুর লাইনগুলিকে নিখুঁতভাবে সুনির্দিষ্ট করে তুলতে পারে। পোমেড দিয়ে বেশ কিছু খুঁত ঢেকে ফেলা যায় এবং ফাঁকা জায়গা সহ পুরো ভ্রু রঙ দিয়ে ভরাট করা যায়। এছাড়াও এই পণ্যটি দিয়ে দিনের তথা রাতের মেকআপও সেরে ফেলা যায়। আপনি যদি আপনার স্থায়ী ভ্রু মেকআপকে সতেজ করতে চান তবে এটি অতুলনীয়।
ব্রো পেনসিল হল আর একটি পণ্য যা দিয়ে চমৎকারভাবে ভ্রু-র নিচের প্রান্ত বাড়ানো যায় এবং সঠিক জ্যামিতিক আকার দেওয়া যায়। সঠিক রঙ বেছে নেওয়ার মূল মন্ত্রটি কিন্তু একঃ কোন রকম অসুবিধের সৃষ্টি না করে শেডটিকে আপনার স্কিন টোনের সঙ্গে খাপ খেতে হবে। একটি ভালো ব্রো পেনসিল ভ্রু-র আউটলাইন বা আর্চগুলি রঙ দিয়ে ভরাট করতে নয়, এটি দিয়ে ভ্রু-র আসল চুলের মত বাড়তি কিছু লাইনও এঁকে ফেলা যায় ও শেষের অংশটি অর্থাৎ টেলকেও উজ্জ্বল করে তোলা যায়। খুব দরকারী বিষয়টি হল এর মাথার টিপটিকে সঠিক মাত্রায় সরু, শক্ত হতে হবে এবং এতে খুব ভালভাবে রঙ থাকতে হবে – এগুলিই নিঃসন্দেহে মেকআপের পর ভ্রু-যুগলকে করে তুলবে বিস্ময়কর।
ওয়ার্ম ও কুল রঙ এর স্কিন টোনের জন্য ব্রো মেকআপ
-
ওয়ার্ম স্কিন টোনের জন্য ব্রো মেকআপ
স্প্রিং আর অটাম যাদের টোন তারা শুনুন! ওয়ার্ম স্কিন টোনে কী ধরণের ব্রো মেকআপ মানাবে?
বিভিন্ন রকমের ওয়ার্ম ও নিউট্রাল শেডের দিকে ফোকাস করুন। স্প্রিং-রা এরকম কিছু ওয়ার্ম আভা সহ হালকা রঙ বেছে নিতে পারেনঃ বাদামী, বেজ। আর অন্যদিকে অটামরা, ব্রাউন আর বেজ বেছে নিতে পারেন, যাতে লাল, কমলা ও সোনালী আভা থাকবে।
-
কুল স্কিন টোনের জন্য ব্রো মেকআপ
উইন্টার আর সামার টাইপকে কুল স্কিন আন্ডারটোনের বিভাগে ফেলা যায়। আপনি যদি এই বিভাগের মধ্যে পড়েন, আপনার মেকআপ হবে কুল (হালকা বা গাঢ়) ব্রাউন আর গ্রে শেডের যা আপনার চুলের রঙের সাথে মেলে। উইন্টারকে কিন্তু একক শেডগুলিতে ভালো লাগবে সামারদের থেকে – গ্রে বা টউপ (বেজ আর গ্রের মিশ্রণ) রঙে। সামারকে কিন্তু কালো বা মাটির রঙের কাছাকাছি রঙগুলোকে এড়িয়ে চলতে হবে।
ব্রো মেকআপ – নিউট্রাল রঙগুলি। সব স্কিন টোনের জন্য পারফেক্ট
এটি উল্লেখ করার মতো যে প্রতিটি ত্বকের জন্য নির্দিষ্ট রঙগুলি ছাড়াও, এমন কিছু রয়েছে যেখানে ওয়ার্ম বা কুল কোন তাপমাত্রার প্রাধান্য নেই। এটা তাদের জন্য খুব ভালো যারা তাদের ত্বকের কী ধরণ তা নির্ধারণ করে উঠতে পারেননি।
প্রসাধনীর নিউট্রাল শেডের কথা বলতে গেলে, এই রংগুলির কালার টেম্পারেচার কমানো থাকে। এখানে কোন ওয়ার্ম টোন যেমন লাল, এবং কমলা বা কুল পিগমেন্ট যেমন নীল বা বেগুনি নেই। অন্য রঙের সঙ্গে এগুলি চমৎকারভাবে মিশে যাওয়ার জন্য এই শেডগুলি অনেক রকমের স্কিন টোনের জন্য উপযোগী, এমনকি মিক্সড বা মিশ্রিত স্কিন টোনের জন্যও।
খুব ভেবে চিন্তে বানানো প্রসাধন সামগ্রীগুলিতে নিউট্রাল শেড পাওয়া যায়ঃ এটি একটি নিরাপদ বিকল্প কারণ আপনি আপনার মেকআপে যে শেডগুলি ব্যবহার করেন তা নির্বিশেষে মেকআপ চমৎকার এবং সুসঙ্গত দেখায়। নিউট্রাল শেড দিয়ে মেকআপ করা ভ্রু-যুগল খুব সুন্দর মিলে যায় ওয়ার্ম বা কুল টোনের আইশ্যাডো, ফাউন্ডেশন বা লিপস্টিকের সঙ্গে।
ন্যানোব্রোর পণ্যগুলি – ওয়ার্ম, কুল ও নিউট্রাল ত্বকের অধিকারীদের জন্য রঙের বিন্যাস
যদি আপনি সঠিক ভ্রু মেকআপ পণ্য বেছে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে ন্যানোব্রোর বিশাল প্রসাধনীর সম্ভারে আসুন। এখানে নানা রকমের ভ্রু মেকআপের পণ্য রয়েছে যা প্রত্যেকটি স্কিন টোনের সঙ্গে মেলে তা আপনার টোন কুল বা ওয়ার্ম অথবা নিউট্রাল যাই হোক না কেন। ন্যানোব্রোর পণ্য গুলি বিপুল জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এবং এর গুণমান ও রঙের বৈচিত্র্যর জন্য মহিলারা তাদের আদর্শ ব্রো মাস্কারা, পেনসিল বা পোমেড বেছে নিতে পারছেন। আপনি নিজে দেখে নিন আর প্রতিদিন নিখুঁত মেকআপে নিজেকে সাজিয়ে তুলুন। যখন সুন্দর ভ্রুর দরকার তখন ন্যানোব্রো হচ্ছে সত্যিকারের বিশেষজ্ঞ!