আইব্রো পিয়ার্সিং সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য

আইব্রো পিয়ার্সিং এর প্রত্যেকটি পর্যায়

শরীরের মধ্যে অলঙ্করণ করার ট্রেন্ড এখনো চলছে এবং আইব্রো রিং হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ট্রেন্ড। ব্রো পিয়ার্সিং খুব সমস্যাজনক পদ্ধতি নয় তাই আমরা এটা করবো বলে মুহুর্তের মধ্যে ঠিক করে ফেলি। তবে, এটা মনে রাখা জরুরী যে, যে কোন রকমের পিয়ার্সিং বা ছিদ্র করলে কিন্তু আমাদের শরীরের ওপর এর প্রভাব পড়ে। তাই, এই পদ্ধতির ক্ষতিকারক দিকগুলি, পিয়ার্সিং এর ধরণ এবং পিয়ার্সিং এর পরের যত্ন সম্পর্কে জেনে নেওয়া জরুরী।

পিয়ার্সিং বা ছিদ্র করা কী জিনিস?

পিয়ার্সিং হচ্ছে শরীরকে সাজানোর এক উপায়। ত্বকের কোন একটি অংশে ছিদ্র করা হয় যাতে সেখানে কোন গয়না (যেমন কানের দুল) পরা যায়। আপনি জেনে রাখুন যে শরীরে এই ছিদ্র করার প্রচলন হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে এবং বিশ্বে অনেক সম্প্রদায়ের সংস্কৃতিতে এখনো খুব জনপ্রিয়। এর শুরুটা হয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকার এক ছোট্ট আদিবাসী গ্রামে, আম্যাজনে, এশিয়া, আফ্রিকা ও পলিনেশিয়ায়, আর এখন বহু শতাব্দীর পর এর পরিণতি আধুনিক শহরের রাস্তায় রাস্তায় দেখা যায়। তো, এর পদ্ধতিটি কেমন? এটা কিভাবে করা হয়? এটা সাধারণ কান ফোটানোর বা ছিদ্র করার মতই পদ্ধতিঃ একটি সুচের সাহায্যে শরীরের ট্যিসুর একটি অংশে ছিদ্র করা হয় এবং ফুটোতে ব্যক্তির পছন্দমত একটি গয়না ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।

আইব্রো পিয়ার্সিং কী ভাবে করা হয়?

যতটা সম্ভব কম ব্যথা লাগে তার জন্য ভ্রু-র পিয়ার্সিং বা ছিদ্র একটি মাত্র সুঁচ দিয়ে করা হয়। এই প্রক্রিয়ার আগে সানবাথ, অ্যালকোহল ও ব্যথা নাশক কিছু বা পেইনকিলার না নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আইব্রো পিয়ার্সিং পুরোপুরি জীবাণুমুক্ত পরিবেশে, একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া হয় এমন সুঁচ ও জীবাণুমুক্ত যন্ত্রপাতি দিয়ে করা উচিৎ। পরার গয়নাটিকেও জীবানূমুক্ত করা উচিৎ। এছাড়াও প্রক্রিয়া শুরু করার আগে ভ্রু ও এর আশেপাশের অঞ্চলকেও জীবানূমুক্ত করতে হবে। যে সালোনে আপনি এটা করবেন তারা সাধারণত আপনাকে ভালো মানের এবং ভালো মাত্রায় সহনীয় এমন জিনিস যেমন টাইটানিয়ামে তৈরী কয়েকটি গয়না দেখিয়ে আপনাকে পছন্দ করতে বলবেন, তাই আপনার নিজে থেকে  গয়না না আনলে খুব ভালো হয়। আপনার ভ্রু সম্পূর্ণ সেরে গেলে তারপর আপনি নিজের পছন্দমত গয়না পরতেই পারেন।

আইব্রো পিয়ার্সিং এর প্রত্যেকটি পর্যায়

১। যারা এই কাজটি করেন তারা ত্বকে বিশেষ একধরণের ক্ল্যাম্প আটকে নেন। এর মাধ্যমে সুচ কতটা ভেতরে ঢুকবে তা দেখে নেওয়া হয়। ত্বকের বেশ মোটা অংশই আটকে নেওয়া হয়, কারণ ত্বকের ঠিক ওপরের অংশে বা সারফেসের খুব কাছে পিয়ার্সিং করা ঠিক নয়।
২। যেখানে পিয়ার্সিং করা হবে সেখানটায় পুরোপুরি জীবানূমুক্ত করে নেওয়া উচিৎ।
৩। এরপর, যিনি এই কাজটি করছেন তিনি একটি মার্কার পেন দিয়ে একটা ছোট্ট বিন্দু এঁকে জায়গাটি চিহ্নিত করবেন।
৪। এরপর ওই চিহ্নিত বিন্দুতে সুঁচের সাহায্যে পিয়ার্সিং করা হবে। এটি ত্বকের ভেতরে থাকবে ও ক্ল্যাম্পটি খুলে ফেলা হবে।
৫। তারপর সাবধানে সুঁচটি তুলে নেওয়া হবে এবং ফুটোতে একটি বারবেল ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। ব্যস!

কত রকমের আইব্রো পিয়ার্সিং রয়েছে?

আইব্রো পিয়ার্সিং প্রধানত তিন ধরণের হয়ঃ সাধারণ, অনুভূমিক ও অ্যান্টি আইব্রো। যদিও এটি একটি বেদনাদায়ক প্রক্রিয়া, এটি লোকাল অ্যানাস্থেশিয়া প্রয়োগ করে করা হয়, কিন্তু যেহেতু এইসব অঞ্চল বিশেষ নাড়ানো হয় না তাই সাধারণত বিশেষ কোন জটিলতা তৈরী না হয়ে খুব তাড়াতাড়ি জায়গাটি সেরে যায়। ব্রো পিয়ার্সিং এর জন্য বিশেষ ধরণের অলঙ্কার ব্যবহার হয় যাকে সারফেস বার বলে।

আইব্রো পিয়ার্সিং করা কী নিরাপদ?

আইব্রো পিয়ার্সিং সাধারণত নিরাপদ, তবে কিছু অবস্থা যেখানে পিয়ার্সিং নড়ে যেতে পারে সেগুলো এড়িয়ে চলা উচিত; যেমনঃ হেলমেট পরা ও মোটরসাইকেল চালানো, বা সওনা, সুইমিং পুল, ট্যানিং বেড বা রোদে শুয়ে থাকার বেড এরকম কিছু জায়গায় যেখানে সংক্রমণের সম্ভাবনা আছে। প্রক্রিয়াটির পর প্রথম কয়েক সপ্তাহ ছিদ্র করা জায়গাটি আপনাকে ভালো ভাবে নজরে রাখতে হবে।

আইব্রো পিয়ার্সিং করতে কী ব্যথা লাগে?

এটা অবশ্যই একেকজনের ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিছু মানুষ এই প্রক্রিয়ায় বেশি অসুবিধে অনুভব করেন আবার কিছু মানুষ ততটা নয়। প্রক্রিয়ার সময়টিতে ব্যথা না লাগার জন্য লোকাল অ্যানাস্থেশিয়া দেওয়া হয়। একটি অক্লুসিভে ব্যান্ডেজের সাহায্যে জায়গাটি সুরক্ষিত করা হয়, ব্যান্ডেজটিকে ৮ ঘন্টার মত রাখতে হয়। ছিদ্র করা জায়গাটিকে দিনে বেশ কয়েকবার স্যালাইন সলিউশন বা স্যালাইন জল দিয়ে ধুয়ে ফেলা উচিৎ।

আইব্রো পিয়ার্সিং এর জায়গাটি সেরে উঠতে কত সময় লাগে?

দুর্ভাগ্যবশত, এর কোন সঠিক উত্তর নেই। ছিদ্র করার জায়গা ও সেরে ওঠার ব্যক্তিগত ক্ষমতার ওপর অনেকটা নির্ভর করে। সাধারণত, সেরে ওঠার সময় মোটামুটি কয়েক সপ্তাহ থেকে ৩ মাস এবং শরীরের অন্য জায়গায় তা প্রায় ৬ মাস পর্যন্ত হতে পারে! সেরে ওঠার সময়, পরে থাকা গয়নাটি যা দিয়ে তৈরী তা খুব গুরুত্বপূর্ণ, তাই এটা মনে রাখতেই হবে খুব ভালো মানের ধাতুকে শরীরের প্রত্যাখান করার প্রবণতা কিন্তু অনেক কম।

ভ্রু-তে পরার দুল – সোনা, রূপা, অথবা প্লাস্টিক?

আমরা ভ্রু-র দুলটি যে ধাতু দিয়ে তৈরী তার ভিত্তিতে শ্রেনীবদ্ধ করেছি। এটি যত ভালো মানের হবে, ত্বক তাকে তত ভালোভাবে গ্রহণ করবে। আমরা এগুলির থেকে পছন্দ করতে পারিঃ

  • সোনা – সবচেয়ে ভরসাযোগ্য কিন্তু সবচেয়ে দামী ধাতু, এ থেকে অ্যালার্জি হয় না এবং তাড়াতাড়ি সেরে ওঠা যায়।
  • রূপা – সোনা থেকে কিছুটা সস্তা, কিছু সারিয়ে তোলার বা রিজেনেরেটিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
  • প্লাস্টিক – খুব কম দামে পাওয়া যায়; ছিদ্রের অংশকে ভারী করে তোলে না এবং এরও কিছু রিজেনেরেটিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
  • টাইটানিয়াম – এটি খুব জনপ্রিয় এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক ধাতু যার মাধ্যমে ত্বকের ক্ষত তাড়াতাড়ি সেরে যায়। এর গুণমান খুব ভালো এবং যথেষ্ট কম দামে পাওয়া যায়। তাছাড়া, এতে কোন অ্যালার্জি হয় না। এমনকি যাদের অ্যালার্জি আছে তারাও টাইটানিয়ামে তৈরী দুল পরতে পারে।

পিয়ার্সিং করার আগে কী কী জিনিস দেখে নেওয়া হয়?

আইব্রো বা শরীরের অন্য কোথাও পিয়ার্সিং করার আগে, এই প্রক্রিয়া করার সমস্যার দিকগুলি জেনে নেওয়া দরকার। এর মধ্যে রয়েছেঃ

১। সর্দি-কাশি বা শরীর খারাপ এবং অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়া

শরীর খারাপ ও কোন ওষুধ খাওয়া, বিশেষত অ্যান্টিবায়োটিক খেলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ওষুধের শেষ ডোসের পর দু সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় এবং এই সময়ের পরই পিয়ার্সিং প্রক্রিয়া করা যাবে।

২। চিকিৎসা সংক্রান্ত পরীক্ষার সময়ে

সাধারণত যখন আপনি শরীরে বিভিন্ন পরীক্ষা বা চিকিৎসা অথবা কোন প্রক্রিয়া করান, আপনাকে হয়ত তখন শরীরের গয়নাগুলি খুলে রাখতে বলা হয়। যদি খুব কাছাকাছি সময়ে এধরনের পরীক্ষা করানোর  থাকে তবে পিয়ার্সিং প্রক্রিয়া পিছিয়ে দিন। সদ্য করা পিয়ার্সিং সেরে যাওয়ার সময় দিতে হবে, আপনাকে ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সময়ে দিতে হতে পারে এবং এই সময় কিন্তু আপনি পিয়ার্সিং-এর পর লাগানো গয়না খুলে রাখতে পারবেন না।

৩। রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা

যদি কারোর রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা থাকে তবে তার কখনোই ত্বকে ছিদ্র বা পিয়ার্সিং করা চলবে না।

৪। গর্ভাবস্থায় ও সন্তান জন্মের পর

যতদিন না আপনার শিশু কিছুটা বড় হয় ততদিন পর্যন্ত পিয়ার্সিং পিছিয়ে দিন।

৫। ছুটি

মনে রাখবেন সদ্য পিয়ার্সিং করার জায়গাটিতে জল লাগানো চলবে না। সেক্ষেত্রে পুল, লেক, সমুদ্র ইত্যাদিতে যাওয়ার কোন প্রশ্নই নেই। এর বাইরে, প্রক্রিয়ার প্রথম কয়েক মাস সওনা ব্যবহার করাও উচিৎ নয়।

৬। চর্মরোগ

সমস্ত রকমের দীর্ঘস্থায়ী ও গুরুতর চর্মরোগের ক্ষেত্রে পিয়ার্সিং করা যায় না।

৭। ঋতুস্রাব

আপনার পিরিয়ড চলাকালীন কিন্তু পিয়ার্সিং-এ বেশি ব্যথা লাগতে পারে।

৮। ঋতু

আপনার জানা উচিৎ পিয়ার্সের জায়গাটি বসন্ত বা গ্রীষ্মের থেকে শীতকালে দেরিতে সারে।

পিয়ার্সিং প্রক্রিয়ায় মেনে চলার গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

প্রথম ও সবচেয়ে আগে – স্বাস্থ্যবিধি পালন! আইব্রো পিয়ার্সিং সহ যেকোন ধরণের কাটায় সবচেয়ে জরুরী হল জায়গাটি পরিষ্কার রাখা। প্রক্রিয়াটি হয়ে যাওয়ার পর সুইমিং পুল, জ্যাকুজি, লেক, সমুদ্র ইত্যাদিতে নামবেন না। জলে ক্ষতিকারক মাইক্রো অর্গানিজম বা অণুজীব থাকতে পারে। পিয়ার্সিং এর জায়গাটি নোংরা হাতে ধরা উচিৎ নয়। তাই, আপনার হাত প্রথমে সাবান (অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বা জীবাণুনাশক সাবান নেওয়া ভালো), তারপর একটি জীবাণুনাশক তরল জায়গাটিতে লাগান। পিয়ার্স করা জায়গাটি প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে পরিষ্কার রাখুন। গরম জলে ভেজানো একটি জীবাণুমুক্ত তুলোর প্যাড এর জন্য যথেষ্ট। তারপর লাগান একটি অ্যান্টি সেপটিক বা স্যালাইন লোশন (স্যালাইন বা সি সল্ট)। এছাড়াও মনে রাখবেন কোন ক্রিম, লোশন, পারফিউম ইত্যাদি ওই জায়গাটিতে লাগাবেন না। কোন বিশেষ উপসর্গ যেমন, কিছু বেরনো, লাল হয়ে যাওয়া, ইনফ্ল্যামেশন বা জ্বালাভাব হলে তক্ষুনি যিনি পিয়ার্সিং করেছেন তার সঙ্গে বা কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তাহলেই আপনি সংক্রমণ বা তা ছড়িয়ে পড়া থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।

মনে রাখবেন!

পিয়ার্সিং এর জায়গাটিতে যদি আপনি অনবরত চুলকানি অনুভব করেন বা জায়গাটি লাল ও ফুলে যায়, তাহলে এটা ইনফ্ল্যামেশনের লক্ষণ। সেক্ষত্রে পরবর্তী যত্নের জন্য একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।

আইব্রো পিয়ার্সিং ও মেকআপ – পিয়ার্সিং করা জায়গাতে কী মেকআপ করা যাবে?

অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন পিয়ার্সিং করার জায়গাটিতে কী মেকআপ করা যাবে। সেরে ওঠার প্রথম পর্যায়ে অ্যালকোহল আছে এমন প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না এবং ছিদ্র করা জায়গাটি সহ আশে পাশে মেকআপ লাগানো এড়িয়ে চলুন। তবে, হালকা হাতে আপনি ভ্রু ব্রাশ করে নিতে পারেন এবং পিয়ার্সিং-এর আশে পাশের ভ্রু টুইজার দিয়ে তুলে নিতে পারেন, আপানর ভ্রু-র গয়নাটি যেহেতু সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে তাই ভ্রু-কে সুন্দর করে গুছিয়ে রাখার দরকার। ভালো মানের ট্যুইজার ব্যবহার করুন তাহলে ভ্রু তোলা সহজ হয়ে যাবে।

ত্বকের ক্ষত সেরে গেলে অবশ্যই আপনি আপনার নিয়মিত ভ্রু মেকআপে ফিরে যেতে পারবেন। পিয়ার্সিং করা ভ্রু সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে, সেক্ষেত্রে ভালো মানের প্রসাধনী দিয়ে খুব সুন্দর ও যত্ন করে মেকআপ করা ভ্রু সবার নজর কাড়ে। সুনির্দিষ্ট একজোড়া ভ্রু-র সঙ্গে পিয়ার্সিং চমৎকার মেলবন্ধন করে। পিয়াঈসিং করা ভ্রু-তে যদি এদিকে ওদিকে চুল থাকে, শেপ ভালো না হয় তবে পিয়ার্সিং-এর পুরো এফেক্টটাই নষ্ট হয়ে যায়, স্টাইল খারাপ হয়ে যায়। তাই পিয়ারসিং এর সঙ্গে ভ্রু-যুগলের শেপ ঠিক রাখার দিকটিও নজর দিতে হবে, সেই সঙ্গে এর সৌন্দর্য্যের দিকটিরও। এমনকি শুধু একটা ব্রো পেনসিল দিয়ে একটু খানি গুছিয়ে ফেলা ও ছোট্ট টাচ আপেও ভ্রু-যুগলকে অনেক সুন্দর লাগে।

ব্রো পোমেড হচ্ছে একটি আদর্শ ভ্রু চর্চার প্রসাধনী যা অনেক সময় ধরে থাকে, গাঢ় হয় ও এটি খুব নমনীয় একটি জিনিস। এটি ভ্রু-জোড়াকে ভরাট করে, শেপ সুনির্দিষ্ট করে এবং চুলের মত স্ট্রোক দিতে সাহায্য করে। এধরনের ব্রো মেকআপ আপনার পিয়ার্সিং এর এফেক্টকে আরো আকর্ষনীয় করে তুলবে! আমাদের ব্রো মেকআপ প্রোডাক্ট গুলির নির্দেশিকা দেখুন এবং শিখে নিন এগুলি কীভাবে ব্যবহার করতে হয়।

পিয়ার্সিং থেকে কী দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হতে পারে?

সাধারণ একটা বিশ্বাস আছে যে আইব্রো পিয়ার্সিং করলে তা থেকে দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হতে পারে। এটি একটি গল্পকথা! পিয়ার্সিং প্রক্রিয়ার সময় অপ্টিক নার্ভের ক্ষতি হওয়া কখনোই সম্ভব নয়। তবে, এটা জেনে রাখা ভালো, যদি খুব খারাপ ভাবে পিয়ার্সিং করা হয় তবে ট্রাইজেমিনাল নার্ভে তা লেগে যেতে পারে, তা থেকে নিউরালজিয়া হতে পারে। তাই, সতর্কতার সঙ্গে আপনার সালোন ও পিয়ার্সিং করার ব্যক্তিটিকে বেছে নিন – এক্ষেত্রে প্রচুর অভিজ্ঞতা ও ভালো রিভিউ থাকা যোগ্য বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিকে বেছে নিন।

একটি মন্তব্য লিখুন। মডারেটরের অনুমোদনের সাথে সাথে এটি পোস্ট করা হবে।
গোপনীয়তা নীতি

আমাদের ওয়েবসাইট বাহ্যিক সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করার জন্য কুকিজ, এছাড়াও তৃতীয় পক্ষের কুকিজ ব্যবহার করে। যদি ব্যবহারকারী তাদের সম্মতি না দেয় তবে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় কুকি ব্যবহার করা হয়। আপনি যেকোনো সময় আপনার ব্রাউজারে সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন। আপনি কি সমস্ত কুকি ব্যবহার করার জন্য আপনার সম্মতি দেন?

গোপনীয়তা নীতি