
নিজেকে ফ্যাশনদুরস্ত দেখাতে কীভাবে ভ্রু প্লাক করবেন যা আপনার মুখের শেপ ও বৈশিষ্ট্যগুলির সঙ্গে মানানসই হবে? কোন উপায়টি বেছে নেবেন যাতে ব্যথায় আপনার চোখে জল আসবে না? সেটা কী ট্যুইজার, থ্রেড বা সুতো অথবা ওয়াক্স বা মোম দিয়ে করা হবে? এখানে দেখে নিন ব্রো স্টাইল ও শেপের জন্য আমাদের নির্দেশিকাগুলি!
আইব্রো শেপিং – কী করে তা সঠিকভাবে করা যায়?
আপনার ভ্রু-যুগলকে সঠিকভাবে শেপ করতে গেলে, আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে যাতে আপনার ভ্রু-জোড়া নিখুঁত লাগে এবং কোন সৌন্দর্য্য ত্রুটি না ঘটে। প্রথমত, মনে রাখবেন আপনার নিচের ভ্রু লাইনের তলার দিকের শুধুমাত্র এদিকে ওদিকে বেরিয়া থাকা চুলগুলিকে তুলে ফেলতে হবে। ওপরের ব্রো লাইনের ওপরে বেড়ে ওঠা একেকটি চুল শুধুমাত্র প্লাক করবেন। মনে রাখবেন আপনার স্বাভাবিক ভ্রুর শেপকে এলোমেলো করা চলবে না। ওপরের ভ্রু লাইনে বেশি মাত্রায় প্লাক করলে ভ্রু অসমান হয়ে যেতে পারে, তৈরী হয়ে পারে ভ্রুতে অসাম্য এবং আপনার মুখের শেপের সঙ্গে ভ্রু নাও মিলতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত ওপরের ভ্রু লাইনের শেপে ভুল হলে তা পরে ঠিক করা সমস্যাজনক।
মোটা ভ্রু দেখতে ভালো লাগে এবং এতে মুখ অনেক অল্পবয়সী লাগে, কিন্তু বন্য ভ্রু বা খারাপ দেখতে জোড়া ভ্রু দেখতে একদম আকর্ষনীয় নয়, কারণ এতে আপনাকে সবসময় রাগী লাগে। একদম সরু লাইনের মত ভ্রু, ১৯৯০ এ খুব ফ্যাশনদুরস্ত ব্যাপার ছিল, এতেও কিন্তু মুখে ভালো লাগত না। সরু ভ্রুর ট্রেন্ড অনেক আগেই চলে গেছে, এটা কাউকেই বিশেষ মানায় না। স্বাভাবিকের মত শেপ করা এবং গোছানো আর্চ এখন চলছে, যা আপনার মুখে সুন্দর মানিয়ে যায়। কীভাবে আপনার ভ্রু-জোড়া সঠিক শেপে আনবেন? সবচেয়ে ভালো হয় একে স্বাভাবিক রাখলে এবং সুনির্দিষ্ট করে রাখলে। সবচেয়ে ভালো হয় এর মূল শেপকে বজায় রাখা, শুধুমাত্র যথাযথ আউটলাইন করা দরকার।
আমার মুখের শেপের সঙ্গে ভ্রু কীভাবে মানানসই করে তুলবেন?
আপনার মুখের সঙ্গে ভ্রুর সুন্দর করে মানানসই হওয়াই একমাত্র মূখ্য বিষয় – শুধুমাত্র তখনই আপনার সৌন্দর্য্য পরিপূর্ণভাবে প্রস্ফুটিত হবে। তাই, কখনোই সবসময় পরিবর্তনশীল ব্রো ট্রেন্ডের পেছনে ছুটবেন না। আপনার ভ্রু-যুগলকে আপনার সঙ্গে মানানসই হতে হবে, লেটেস্ট ব্রো ট্রেন্ডের সঙ্গে নয়। আপনার মুখকে আরও সুন্দর করে তোলার উপযোগী ও খুঁত ঢেকে ফেলার মত ভ্রুর শেপ কীভাবে পাবেন?
আপনার মুখের সঙ্গে চমৎকারভাবে মানিয়ে যাওয়ার মত সেরা ভ্রু শেপ
- ডিম্বাকৃতি মুখ – এতে আর্চদুটি সফট, সেইসঙ্গে বোল্ড ও ওয়াইড বা প্রশস্ত হলে সবার নজর কাড়বে।
- চৌকো আকৃতির মুখ – ভাল আর্চযুক্ত ভ্রু চৌকো আকৃতির মুখের কাঠিন্যভরা কোণগুলিতে ভারসাম্য নিয়ে আসে।
- গোল মুখ – ধারালো ও কোণের মত আর্চ গোল মুখে একটা অন্য আকৃতি নিয়ে আসে, একে খানিকটা লম্বা আকৃতি দেয়।
- ত্রিকোণাকৃতি মুখ – আপনার মুখের বৈশিষ্ট্যগুলিকে নমনীয় করতে সফট ও গোলাকৃতি আর্চ প্রয়োজন।
- হার্ট শেপের মুখ – মাঝারী মোটা ভ্রু, হালকা আর্চ দরকার।
- আয়তাকার মুখ – হালকা ধারযুক্ত সোজা ভ্রু একদম আদর্শ; খুব বেশি কোণযুক্ত আর্চ এই ধরণের মুখকে আরো প্রসারিত করে তুলবে।
কীকরে আইব্রো প্লাক করবেন? নিজে করবেন নাকি বিউটিশিয়ানকে দিয়ে করাবেন?
সাধারণভাবে বলা যায়, আপনি আপনার ভ্রু নিজেই খুব সহজে প্লাক করে নিতে পারবেন, কিন্তু মনে রাখবেন কোন ভুল করা চলবে না। যদি ভালো করে ভ্রু প্লাক না করতে পারেন, আপনি ভ্রুর সমতাকে নষ্ট করে ফেলবেন, এতে ভ্রু কার্টুনের মত দেখতে লাগবে। খুব বেশি করে প্লাক করা ভ্রু কিন্তু সত্যি খুব খারাপ দেখতে লাগে, আপনার মুখ দেখে মনে হয় সবসময় আপনি বিভ্রান্ত। যদি আপনার ঠিক করে ভ্রু প্লাক করার ব্যাপারে সন্দেহ থাকে তবে একজন পেশাদার বিউটিশিয়ানের সাহায্য নিন। তিনি আপনাকে ভ্রুকে সমান করে শেপ করে দেবেন। সেটাকে অনুসরণ করে আপনি সঠিক ভ্রু শেপ বজায় রাখতে পারবেন – আপনাকে শুধু এদিক ওদিকে আবার বেড়ে ওঠা চুলগুলিকে প্লাক করে ফেলতে হবে।
আইব্রো প্লাকিং – ভালো মানের ট্যুইজার বেছে নিন
বাড়িতে খুব সহজে কীকরে ভ্রু প্লাক করা যায়? সবার প্রথমে, খুব ভালো মানের একটা ট্যুইজার নিয়ে নিন! আপনার পছন্দ কিন্তু যাহোক একটা হলেই হবে না। টিপ দুটি তীক্ষ্ণ হওয়া উচিত এবং প্রান্তগুলি একে অপরের সাথে পুরোপুরি মিলে যাওয়া উচিত যাতে প্রতিটি চুল ধরা যায়, এমনকি সবচেয়ে ছোট চুলগুলিও। ভালো ট্যুইজারের যথাযথ শেপ রয়েছে, এটি হাতে ধরতে কোন অসুবিধে হয় না। এর ম্যাট ফিনিশের জন্য প্লাক করার সময় আঙুল ফস্কে যায় না। মোটা ট্যুইজার হাতে ধরতে ও চুলকে বেছে নিয়ে ধরে রাখতে অসুবিধে হয়, অনেকসময় ত্বকে চিমটি লাগে এতে খুব যন্ত্রণা হয়। দুটি টিপের মাঝখানে চুলটিকে আঁকড়ে ধরুন ও প্লাক করুন, দৃঢ়ভাবে ও দ্রুতগতিতে প্লাক করুন। ভ্রুর কোন চুল তুলে ফেলতে যদি আপনার দ্বিধা হয় তবে সেটা রেখে দিন, না হলে জায়গাটি ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। চেষ্টা করুন ভ্রু-জোড়াকে সুন্দর ভাবে এবং লেজের দিকে সরু হয়ে যাওয়ার শেপে নিয়ে আসতে – লেজের দিকটি বা শেষের অংশটি অস্পষ্টভাবে সরু ও স্পাইকের মত হওয়া উচিৎ।
ট্যুইজার। কীকরে সঠিকভাবে আপনার ভ্রু প্লাক করবেন?
আইব্রো প্লাকিং হল নিজে করতে পারার মত সাধারণ পদ্ধতিগুলির মধ্যে একটি। আপনার মুখের সঙ্গে মানানসই করে ভ্রু-জোড়াকে গুছিয়ে তুলতে ও যথাযথ শেপ দিতে কী করে প্লাক করবেন? ভ্রু দুটির সঠিক মাপ নির্ধারণের জন্য একটি পদ্ধতি রয়েছে। আপনার লাগবে একটা সরু ও লম্বা কাঠি – একটি পেনসিল অথবা একটি মেকআপ ব্রাশও এই কাজ করতে পারবে।
আপনার নাকের পাশে এবং আপনার চোখের ভেতরের কোণের দিক লক্ষ্য করে কাঠিটি রাখুন। চোখের এলাকার বাইরে কিন্তু এটি যাবে না। কাঠিটি যেখানে ভ্রু লাইনে ছোঁবে – সেখান থেকেই আপনার ভ্রু শুরু হবে এবং এটাই হবে সূচনার বিন্দু। এরপরে, আপনার নাকের পাশে কাঠিটি ধরে রাখুন, সোজা চোখের ওপরে, এবং যেখানে এটি কপালের হাড়ে স্পর্শ করবে সেটিই হবে আপনার ভ্রু-র আর্চ। সব শেষে, নাকের ধারে কাঠিটি ধরুন এবং আপনার ভ্রু-র শেষ প্রান্ত নির্ধারণ করতে আপনার চোখের বাইরের কোণ বরাবর এটি রাখুন।
আইব্রো প্লাকিং এর প্রত্যেকটি ধাপ
কোনরকম সৌন্দর্য্য ত্রুটির সম্মুখীন না হয়ে কীভাবে ভ্রু প্লাক করা যায়? ট্যুইজার দিয়ে তা কীভাবে করা যায় তার প্রতিটি পর্যায় দেখে নিন।
১। ত্বক পরিষ্কার করে নিন – আপনার মুখ, ভ্রুর এলাকা পরিষ্কার ও তেলমুক্ত থাকতে হবে। খুব ভালো হয় স্নান করে আসার পর যখন ত্বক নরম থাকে তখন প্লাক করলে – এতে ব্যথা কম লাগে। মনে রাখবেনঃ দিনের আলোয় ভ্রু প্লাক করবেন, জানলার পাশে একটি বড় দেখায় এমন আয়নার সামনে প্লাক করলে ভালো হয়।
২। ভ্রু কে বিশেষ একটি চিরুনি দিয়ে ব্রাশ করে নিন, বা একটি নরম স্পুলি হলে ভালো হয়। টেম্পলের দিক করে ভ্রু-কে ওপরের দিকে ব্রাশ করুন।
৩। ভ্রু-র শুরু, খিলান এবং শেষটি নির্দিষ্ট করে নিন এবং একটি ন্যুড পেনসিল দিয়ে আউটলাইন করে নিন। এথেকে আপনি বুঝবেন এই প্রক্রিয়া করার পর আপনার ভ্রু-কে কেমন লাগবে। যদি দেখেন এটি খুব সরু বা খুব মোটা লাগছে – আউটলাইন মুছে ফেলুন এবং আবার করুন যতক্ষণ না আপনি আপনার পছন্দমত শেপ পাচ্ছেন।
৪। এবার ট্যুইজার নিন। বেড়ে ওঠার দিক লক্ষ্য করে জোর গতিতে ভ্রু প্লাক করুন।এটা করার আগে ব্যথা কমানোর জন্য একটি বরফের টুকরো জায়গাটিতে ঘষে নিতে পারেন। মনে রাখবেন শুধুমাত্র নিচের ভ্রু লাইনটিকেই প্লাক করতে হবে। ওপরের লাইন থেকে এদিকে ওদিকে বেরিয়ে থাকা কয়েকটি চুল শুধু তুলে নিতে হবে।
৫। ভ্রু-র সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখার কথা ভুলবেন না। প্লাকিং এর ক্ষেত্রে অল্পই অনেক – যদি আপনি আপনার আউটলাইন করা শেপের মধ্যে একটি চুল রয়েছে যেটা তুলতে আপনি দ্বিধা করছেন – তাহলে তাকে রেখে দিন। যদি প্রয়োজন হয় তবে একটু টাচ আপ করে নিলেই চলবে না হলে হয়ত জায়গাটা ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। আপনি চুলগুলো পর্যায়ক্রমে প্লাক করতে পারেন, একবার এক ভ্রু থেকে এবং একবার অন্যটা থেকে – যাতে পুরোপুরি ভারসাম্য বজায় থাকে।
৬। ছোট আয়না থেকে এবার বড় আয়নায় নিজেকে দেখুনঃ আপনার ভ্রু-দুটিকে সামনের দিকে বাড়ানো একটি হাতের দূরত্বে সমানে দেখতে পাওয়া উচিত। তাড়াহুড়ো করবেন না, ধৈর্য বজায় রাখুন এবং সফল প্লাকিং নিশ্চিত করতে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে ভুলবেন না।
ট্যুইজার ছাড়া কীকরে ভ্রু প্লাক করা যায়?
-
থ্রেডিং
আপনি কী জানেন যে আইব্রো প্লাকিং এর জন্য ট্যুইজার ব্যবহার করাই একমাত্র পদ্ধতি নয়? এশিয়রা শতাব্দীর পর শতাব্দী শুধু একটা সুতির সুতো দিয়ে এই কাজটি করে আসছে। এই পদ্ধতিকে বলে থ্রেডিং। সুতো দিয়ে কীকরে ভ্রু প্লাক করা যায়?
৪০ সেমি লম্বা একটি সুতো নিন ও একে ভাঁজ করে অর্ধেক করুন। প্রান্তগুলি নিয়ে একটা গিঁট বাঁধুন যাতে এটা একটা লুপ তৈরী করতে পারে। এবার দু হাতের আঙুল এর ভেতর গলিয়ে দিন। সুতোটি একটু গুটিয়ে দিয়ে মাঝখানে জুড়ে নিন। দুই হাত দিয়ে সুতোটি ধরুন,পর্যায়ক্রমে জোড়া জায়গাটিকে একবার একপাশে এবং একবার অন্য পাশে সরান। এবার দুটো সুতোর মাঝখানে চুলগুলিকে দিন, সুতো চুলগুলিকে একেবারে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলবে। আইব্রো থ্রেডিং করতে হলে অভ্যাস দরকার, তবে আপনি এতে সড়গড় হয়ে গেলে দেখবেন এর থেকে দ্রুত উপায় আর কিছু নেই এবং আইব্রো তোলার এটাই সবচেয়ে নিখুঁত উপায়!
-
ওয়াক্সিং
ওয়াক্সিং হল আইব্রো প্লাকের আর একটি জনপ্রিয় উপায়, একটি প্রায় প্রত্যেকটি বিউটি সালোনেই ওয়াক্সিং করে আইব্রো প্লাক করার কথা বলা হয়।
এটা জনপ্রিয় কারণ এতে ব্যথা সবচেয়ে কম লাগে আর চুল তুলে ফেলার জন্য এই পদ্ধতি যথেষ্ট পরিমাণে দ্রুত। একটি দ্রুত স্ট্রোক দিয়ে আবার বেড়ে ওঠা চুল নিমেষে তুলে ফেলা যায়। তবে, এই পদ্ধতি বাড়িতে করতে বারণ করা হয়। এর কারণ হল এর জন্য সঠিক যন্ত্রপাতি, প্রস্তুতি ও এই পদ্ধতি প্রয়োগের জ্ঞান লাগে। চুল তুলে ফেলতে আইব্রো ওয়াক্সের ঘনত্ব ও তাপমাত্রা সঠিক হওয়া প্রয়োজন। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা ছাড়া দুর্ভাগ্যবশত চোখের কাছাকাছি সংবেদনশীল ত্বক পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আইব্রো প্লাক করার পর লাল হয়ে যাওয়া। কীকরে দূর করা যায়?
প্লাক করার পর, জায়গাটি খানিক লাল হওয়া বা ফুলে যেতে পারে। এই সাধারণ উপসর্গগুলি খুব ভালোভাবে তাড়াতাড়ি দূর হয়ে যায়। যদি আপনি তা সারাতে চান তবে ভ্রু তে ঠান্ডা শেক বা কোল্ড কম্প্রেস দিনঃ একটি ট্যিসুতে কয়েকটি বরফের টুকরো নিন বা একটি জেড ফেস রোলার ফ্রিজে রেখে দিন, এগুলি হালকা করে ত্বকের ওই জায়গাটিতে ঘষুন। যদি যন্ত্রণা না কমে, প্যান্থেনল বা অ্যালান্টয়েন মলম ওই জায়গায় লাগান।
আইব্রো প্লাকিং এর সবচেয়ে সাধারণ ভুলগুলি
আইব্রো অসমান হওয়া – খুব মোটা বা খুব সরু ভ্রু। খুব বেশি করে প্লাক করার ফলে এই ভুল হওয়া খুব সাধারণ ব্যাপার, এতে মুখের সঠিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়।
খুব সরু ভ্রু – এটা ১৯৯০ র ফ্যাশন ছিল। সৌভাগ্যবশত, বর্তমানে একদম শেষ পর্যন্ত আইব্রো প্লাক করে ফেলা আর ফ্যাশনদুরস্ত নয়, তবে এখনো কিছু মহিলারা এই স্টাইল পছন্দ করেন। দুর্ভাগ্যবশত এটি মুখে ভালো লাগে না এবং এটিকে গাঢ় ব্রো পেনসিল দিয়ে সুনির্দিষ্ট করলে মুখ দেখতে কার্টুনের মত লাগে।
জোড়া ভ্রু বা ইউনিব্রো – ফ্রিডা কাহলো কে যা ভালো লাগে তার মানে এই নয় আপনাকেও তা লাগবে। জোড়া ভ্রু আপনার লুককে আকর্ষনীয় করে না, এতে মুখে একটা রাগী ভাব আসে এবং মুখের বৈশিষ্ট্যগুলিকে আরো ধারালো করে তোলে।
খুব বেশি করে প্লাক করা ভেতরের দিকের ভ্রু – দুটি ভ্রুর মাঝে অনেকটা বেশি করে প্লাক করলে নাক, চোখের কোণ এবং আর্চ দুটিতে সঙ্গে কেমন অসামঞ্জস্য তৈরী হয়। প্লাকিং এর পর টাচ আপের সময় এই ভুল প্রায়শই হয়ে থাকে। কখনো কখনো, আপনি খুব বেশিই প্লাক করে ফেলেন এবং অকস্মাৎ আপনাকে কিরকম বিভ্রান্ত দেখতে লাগে।
সাহায্য করুন, আমি ভ্রু বেশি করে প্লাক করে ফেলেছি!
যারা আইব্রো প্লাকিং এ খুব দক্ষ, তাদেরও অনেকসময় এই ভুল হয়। কখনো কখনো তাড়াহুড়ো বা অধৈর্য্যর কারণে আমরা ২ বা ৩ টি বেশি চুল তুলে ফেলি এবং এতে ফাঁকা জায়গা তৈরী হয় যা দেখতে দুর্ভাগ্যবশত ভালো কাগে না। তাহলে উপায়? কীকরে আপনার তুলে ফেলা ভ্রু আবার ফিরে আসবে? এর একটি সমাধান রয়েছে – ন্যানোব্রোর মত শুধু একটা ভালো আইব্রো সিরাম নিয়ে আসুন। প্রতিদিন ব্যবহার করুন, এতে উঠে যাওয়া চুল দ্রুত গজিয়ে উঠবে, তার বাইরে এটি ভ্রু-কে চকচকে করবে, পুষ্ট করবে এবং গোড়া থেকে মজবুত করবে। ন্যানোব্রো সিরাম হচ্ছে দ্রুত একটি সমাধান যা আপনার ভ্রু-কে সুন্দর ও মোটা করে তোলে, আপনার পছন্দসই শেপ তৈরী করতে সাহায্য করে।
তবে, আপনার ভ্রু আবার বেড়ে ওঠার আগে আপনি এই খুঁত মেকআপের সাহায্যে ঢেকে দিতে পারেন! কিছু ভাল মানের ব্রো মেকআপের প্রসাধনী যেমন প্রিসিশন বা নিখুঁত পেন, পেনসিল বা পোমেড যা আলপিনের মত নিখুঁত করে ভ্রু-যুগলকে ভরাট করে তোলে, সেরকম পণ্য নিয়ে আসুন। এর জন্যই আপনি হয়তো খেয়ালই করবেন না কখন আপনার ভ্রু স্বাস্থ্যজ্জ্বল, সুন্দর ও মজবুত হয়ে উঠেছে!